নতুনের খোঁজে-নতুন দিগন্তে
বড় হবার প্রবণতা স্বতঃপ্রবৃত্ত, সকলেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে চায়, অধিকতর সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে ব্যগ্র- এটাই মানুষের স্বাভাবিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
এই যে বড় হওয়া, শ্রেষ্ঠ হওয়া- এগুলো হলো আপেক্ষিক ঘটনা, একজনের সাথে আরেকজনের তুলনার ব্যাপার; নির্বিকল্প শ্রেষ্ঠ বলে ধারণায় যা আছে, তা এ নয়।
বড় হতে হলে, শ্রেষ্ঠ হতে হলে, অন্য কারো সাপেক্ষে এগিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন ও নিবিড় পরিচর্যায় সাধনা, নির্বিকল্প চেষ্টা, কঠিন পরিশ্রম (মানসিক, কায়িক বা উভয়) এবং সর্বোপরি আলস্যবিহীন অধ্যাবসায়।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় পরশ্রীকাতরতাবশত নিজেকে বড় ও শ্রেষ্ঠত্বের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে না তুলে বরঞ্চ অপরকে নিজের স্তরে কিংবা তার চেয়ে নীচের স্তরে নামিয়ে এনে নিজেকে অন্যের সমান বা বড় ও শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে অতীব আগ্রহী হয়, পরিণামে আরো নীচে নেমে যেতে হয়।
কাউকে নীচে টেনে নামিয়ে আনাতে বিশেষ কোন কৃতিত্ব নাই কিংবা এটা কোন গর্ব করার মতো বিষয়ও নয়। নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলে, গুণে-মানে-দক্ষতায়-জ্ঞানে-কর্মে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়াই সাধনা। এটি ব্যক্তি, গোষ্ঠী সবার ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য। এটাই সকলের একান্ত ব্রত হওয়া উচিত।
নিজেকে যোগ্য ও উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারলে শ্রেষ্ঠত্বের আসন ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে সকলে। যা যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করতে হয়, তা কি গায়ের কিংবা মুখের কথার জোরে হয়? যদিও হয়, তা নিতান্তই সাময়িক।