নতুনের খোঁজে-নতুন দিগন্তে
লঘু ত্রিপদী।
পঞ্চ ভাই, এক ঠাই, বসিয়া হরিষে।
হৃষ্ট মনে, ভ্রাতাগণে, কৃষ্ণদাস ভাষে।।
কল্য দিনে, মম মনে, ভাবিয়াছি যাহা।
হৃদি খুলে, সবে স্থলে, বলি ভাই তাহা।।
দেখ ভাই, এক ভাই, করে ঠাকুরালী।
পারে যদি, করে বিধি, মন্দ নাহি বলি।।
যে সময়, ত্যাগ হয়, সফলা নগরী।
এর আগে, হ’তে লাগে, প্রকাশ ঠাকুরী।।
তাহা যত, অবগত, লিখিব সে লীলে।
শুন বার্তা, বড়কর্তা, এবে যা কহিলে।।
হ’লে বংশ, বহু অংশ, হইব পৃথক।
সরাজিতে, এ কালেতে, হইব বণ্টক।।
কর্মছাড়া, ঘরছাড়া, হ’য়েছি নাতক।
যে অবস্থা, এ ব্যবস্থা, হওরে পৃথক।।
চারি ভাই, শুনে তাই, বাক্য দিল সায়।
বড় কর্তা, কহে বার্তা, য’বে লুঠ হয়।।
মোর ঠাই, আছে ভাই, মুদ্রা দশ শত।
দ্বিশতক, এক এক, ভাগ পরিমিত।।
পয়ার।
মহাপ্রভু বলে ভাই আমার নিকটে।
এইক্ষণে পঞ্চশত টাকা আছে বটে।।
তৈলের দোকান করিয়াছি কিনা হাটে।
এই টাকা লভ্য আছে আমার নিকটে।।
এর এক এক শত পাবে একজন।
এই টাকা সবে লহ করিয়া বণ্টন।।
যার যার অংশ সেই সেই বুঝে নিল।
তিনশত টাকা এক জনে অংশে পেল।।
বিশ্বনাথ ভিটা পরে চারি সহোদর।
মহাপ্রভু র’ল আম ভিটা বেঁধে ঘর।।
জমিদার ফিরে গেল সফলা নগরী।
করিল বহু বিলাপ আসিয়া কাছারী।।
কহিল নিষ্ঠুর বাণী তারা পঞ্চ ভাই।
উচ্ছন্ন করেছি প্রজা ভালো করি নাই।।
রাজার মিনতি আর বণ্টনের লীলা।
শ্রবণে গৃহেতে লক্ষ্মী থাকেন অচলা।।
শ্রীধাম শ্রীওঢ়াকাঁদি প্রভুর বিরাজ।
রচিল তারকচন্দ্র কবি রসরাজ।।