নতুনের খোঁজে-নতুন দিগন্তে
“উৎসর্গ-পত্র”
“উৎসর্গপত্র” “উৎসর্গপত্র” নামমাত্র শুনিয়াছি। কিন্তু; কাহাকে বলে, তাহা জানিনা, কিরূপে করিতে হয়, তাহা জানিনা, সেকি আন্তরিক না বাহ্যিক তাহাও জানিনা, তবে কি ক’রে উৎসর্গপত্র লিখিব। বিশেষতঃ যাহাকে উদ্দেশ্য করিয়া, বা, এই গ্রন্থ দিব বলিয়া, “উৎসর্গপত্র” লিখিতে হয়, এই ব্রহ্মাণ্ড যে, তাঁরই সৃষ্ট; সুতরাং ক্ষিত্যপ্তেজমরুদ্যোম বা তজ্জাত আব্রহ্ম স্তম্বপর্যন্ত সবই তাঁর। অতএব যাহার জিনিস তাঁহাকে দেওয়া এ আবার কেমন “উৎসর্গপত্র”। প্রকৃতপক্ষে এ পাগলামি বই আর কিছুই নয়। তবে এক কথা, মনিবের কোন দ্রব্য, ভৃত্যের হস্তে অর্পিত হইলে, ভৃত্য কর্তৃক তাহা নষ্টীভূত বা রূপান্তরিত হইলে, তাহা ফিরাইয়া দেওয়ার সময়, যেমন মনিবকে জানাইয়া দিতে হয়; তাই, ম্লানমুখে, তোমার উদ্দেশ্যে, তোমার লীলাগীতি “শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত” শিরোপরে লইয়া হাজির হইয়াছি। জগৎপিতঃ? তুমি ইহা গ্রহণ করিবে কি? ইহাতে আমার কিছুই নাই। তোমার চিরস্নেহের সেই তারকের মানস-উদ্যান-প্রসূত গোলাপপুষ্পরাজী, তোমার সেই মহানন্দের চির-আকাঙ্ক্ষিত, নন্দনকাননজাত-পুষ্পরাজ পারিজাত। আমি আজ্ঞাবহ দাস তব, “শ্রীপাদ পদ্মে” দিব বলিয়া তোমার মুখ চাহিয়া দাঁড়াইয়া রহিলাম।।
অযোগ্য সেবক
শ্রীহরিবর সরকার।