নতুনের খোঁজে-নতুন দিগন্তে
লঘু-ত্রিপদী
শুনিয়া বচন, সজল লোচন,
আনন্দ তখন কয়।
বুঝিলাম আমি, তুমি অন্তর্যামী,
দাসে রেখ রাঙ্গা পায়।।
হ’য়ে পুত্র হীন, কাঁদি বহু দিন,
শ্রীনন্দ নন্দন হরি।
হ’ল ছয় কন্যে, এক পুত্র জন্যে,
অরণ্যে রোদন করি।।
বলে দয়াময়, যাও নিজালয়,
দিলাম তোমারে ক’য়ে।
গর্ভবতী ধনী, তোমার রমণী,
এবারও জন্মিবে মেয়ে।।
মম বাক্য ধর, ব্রহ্মচর্য কর,
বৎসরেক সুকঠোরে।
থাকিও পবিত্র, তাহলে সুপুত্র,
জন্মিবে তোমার ঘরে।।
অংশ নারায়ণ, জনম গ্রহণ,
করিবে তব আলয়।
এক বর্ষ ধরি, স্পর্শীও না নারী,
থাকিবে এক শয্যায়।।
আনন্দ ললনা, নামেতে ময়না,
সতী পতিব্রতা নারী।
এক সম্বৎসর, করিল কঠোর,
পুত্র অভিলাষ করি।।
ভক্তিযুক্ত মনে, ব্রত আচরণে,
পূর্ণ হ’ল অভিলাষ।
শুন তার সুত্র, হৈল এক পুত্র,
গর্ভে ছিল তের মাস।।
দিল হরি বর, নাম হরিবর,
আনন্দ রাখিল তার।
পুত্র ল’য়ে কোলে, অতি কুতূহলে,
ওঢ়াকান্দি অগ্রসর।।
সুখদা নামিনী, আনন্দ নন্দিনী,
সঙ্গে সঙ্গে গিয়াছিল।
শ্রীহরির রূপ, কালীকা স্বরূপ,
নিশি ভরে নিরখিল।।
ডেকে বলে মায়, কালী পূজা হয়,
ঢাক বাজাচ্ছে না কেনে।
প্রতিমা মা অই, পুরোহিত কই,
মাতা নিষেধে তখনে।।
রাত্রি ভোর হ’ল, সুখদা বলিল,
মাগো মা তোমারে বলি।
যারে ব’লে বাবা, পায় দিলি সেবা,
উনি হ’য়েছিল কালী।।
আনন্দ চরিত্র, পরম পবিত্র,
শুনিবারে সুললিত।
ধন্য ধন্য ধন্য, পূর্ববঙ্গ পূর্ণ,
যার কীর্তি যশোগীত।।
করে কবিগান, পূর্ব দেশে যান,
বাখরগঞ্জ জিলায়।
ওঢ়াকান্দি গিয়া, পদে প্রণমিয়া,
বলিল হরির পায়।।
কবিগান গাই, পূর্ব দেশে যাই,
সে দেশে কুমন্ত্রী আছে।
বন্ধ করে স্বর, গায় হয় জ্বর,
জানাই তোমার কাছে।।
প্রভু দয়াময়, আনন্দেরে কয়,
ভয় কর কারে কিসে।
যথা যা’বে তুমি, তথা যা’ব আমি,
দেখিতে পাবে সে দেশে।।
পাইয়া সাহস, অন্তরে হরষ,
দূরে গেল মনো আধঁ।
রঙ্গ শ্রীগ্রামেতে, পাইল দেখিতে,
মহাপ্রভু হরিচাঁদ।।
শ্রীরাই চরণ, সাহাজী সুজন,
তার বাড়ী হয় গান।
মা! তারা! বলিয়ে, ডাক ছেড়ে দিয়ে,
যখনে ধরিল তান।।
মৃণ্ময়ী প্রতিমা, আনন্দ প্রতিমা,
হইল পূর্ণ সদয়।
কাটাম সহিতে, লাগিল কাপিতে,
রসরাজ গীত গায়।।