নতুনের খোঁজে-নতুন দিগন্তে
নবদ্বীপ আসি গোরা জীব উদ্ধারিল।
পরে শ্রীপুরুষোত্তমে লীলা সম্বরিল।।
একদিন ভক্তগণ সঙ্গেতে করিয়া।
কীর্তন করেন গোরা নাচিয়া নাচিয়া।।
মন্দিরের দ্বারে গিয়া ভক্তগণ সঙ্গে।
জগন্নাথে বেড়িয়া নাচেন নানা রঙ্গে।।
নাচিতে নাচিতে প্রবেশিল শ্রীমন্দিরে।
প্রেমে মত্ত জগন্নাথে প্রদক্ষিণ করে।।
নাচিতে নাচিতে প্রেমে পুলকিত অঙ্গ।
জগন্নাথ মুখচন্দ্রে পশিল গৌরাঙ্গ।।
কীর্তনান্তে গৌর বিনে সকলে অস্থির।
সবে বলে প্রভু কেন না হয় বাহির।।
অতি উৎকণ্ঠিত সবে উচাটন মন।
মন্দিরের ভিতরে কেহ করিল গমন।।
কেহ বা বাহিরে কেহ মন্দির ভিতর।
সবে কাঁদে না দেখিয়া গৌরাঙ্গসুন্দর।।
প্রভু না দেখিয়া সবে করে হাহাকার।
কেহ বা ধরায় পড়ে জ্ঞান নাহি আর।।
কেহ বা মূর্ছিত হ’য়ে পড়েছে ধরায়।
কেহ ব চৈতন্য পেয়ে করে হায় হায়।।
কেহ বা জগবন্ধুর পদধরি কয়।
কহ জগদ্বন্ধু জগবন্ধু সে কোথায়।।
কেহ ধরে হস্ত পদ কেহ ধরে কোল।
মোদের গৌরাঙ্গ কোথা বোল বোল বোল।।
একদৃষ্টে কেহ করে মুখ দরশন।
মুখ মধ্যে দেখে তার গেরুয়া বসন।।
বসনের কোণ ধরি টানিতে লাগিল।
অরুণ বসন তায় বাহির হইল।।
গৌরাঙ্গের ভক্ত যত জগন্নাথে কয়।
আহারে রাক্ষস তোরে কে করে প্রত্যয়।।
কে বলে ঈশ্বর তোরে কে করে বিশ্বাস।
গৌরাঙ্গ খাইলি ওরে দুরন্ত রাক্ষস।।
খাইলি গৌরাঙ্গ মন্দিরেতে পেয়ে একা।
ভাল যদি চাস তবে শীগৌরাঙ্গ দেখা।।
শ্রীগৌরাঙ্গলীলা সাঙ্গ শ্রীক্ষেত্র উৎকল।
রসনা রসনা ভরি হরি হরি বল।।