নতুনের খোঁজে-নতুন দিগন্তে
পয়ার
ওঢ়াকাঁদি যাতায়াত করেন আনন্দ।
পরিবার সহ হরিনামে প্রেমানন্দ।।
অহরহ হরিনাম করে মহামতি।
ক্রমে ধনে জনে তার হইল উন্নতি।।
শয়নে স্বপনে চিন্তা বাবা হরিচাঁদ।
রোগ শোক নাহি চিত্তে পরম আহ্লাদ।।
একদিন আনন্দ শুয়ে আছে ঘরে।
স্বপনে দেখিল প্রভু শ্রীহরি ঠাকুরে।।
আনন্দ বলিল হরি করি নিবেদন।
পূর্ব জন্মে আপনি ছিলেন কোন জন।।
প্রভু বলে তাহা কেহ বলিবারে পারে।
যেই পারে কেহ কি মানুষ বলে তারে।।
আনন্দ বলিল প্রভু অনেকেই পারে।
দয়া করি বল নাহি ভাণ্ডিও আমারে।।
প্রভু বলে কে ছিলাম তাহা নাহি মনে।
তবে একদিন আমি কুরুক্ষেত্র রণে।।
অর্জুনের সারথি ছিলাম যে সময়।
হনু বলে প্রভু আর সহ্য নাহি হয়।।
যদি আজ্ঞা করিতেন প্রভু ভগবান।
একটানে ফেলাতেম কর্ণের রথ খান।।
ফেলাতেম চারি শত যোজনের দূরে।
একবার যদি আজ্ঞা করিতেন মোরে।।
এত বলি মহাপ্রভু উঠিল তখন।
আনন্দ বলিল প্রভু কোথায় গমন।।
প্রভু বলে যা’ব আমি দক্ষিণ দেশেতে।
ফিরে যেতে দেখা করে যা’ব তোর সাথে।।
রজনী প্রভাত সূর্য উঠিল যখন।
আনন্দের নিদ্রাভঙ্গ হইল তখন।।
হেন কালে শুনিলেন মহাপ্রভু যিনি।
নরলীলা সম্বরণ করেছেন তিনি।।
সে আনন্দ নিরানন্দ কথা নাহি মুখে।
জনমের মত দেখা দিলেন আমাকে।।
শুনিয়া কাতর হ’ল ভকত সমাজ।
গোলোক আদেশে কহে কবি রসরাজ।।